মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে শ্মশানসহ রাস্তা রক্ষার দাবি শতাধিক পরিবারের

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: গ্রামের নাম প্রয়াগপুর। শতাধিক হিন্দু পরিবার সহ মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস চাকলার ঘাট এলাকায়। সেই এলাকার মাঝ দিয়ে সরকারি কাঁচা রাস্তা। আর শেষ প্রান্তে নদী। নদীর উপরের পাড়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের গাছ-গাছালি আর হচ্ছে চাষাবাদ। দিন ভালোই কাটছিল চাকলার ঘাটের মানুষের। কয়েক বছরে হঠাৎ করেই নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে মাথায় হাত পড়েছে এলাকার দিনমজুরসহ কৃষকদের। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে বিপদের মধ্যেই দিন পার করছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৭ নং রাতোর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের প্রয়াগপুর গ্রামের সেই চাকলার ঘাট এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীটির নজর পড়েছে ঐ এলাকার শতাধিক হিন্দু পরিবারের উপর। নদী তার আগের অবস্থান পরিবর্তন করে প্রায় ২১০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত আছে। অথচ এর বিপরীতে যে চর জেগে উঠছে, তা অপ্রতুল। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে সেই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানঘাট নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। আর বাকি অংশ এবং সরকারি রাস্তা রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর। বর্ষা মৌসুমে এলাকায় আরো নতুন করে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এতে কৃষি জমির এক বিরাট অংশ, বিভিন্ন গাছসহ বাঁশঝাড় নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে।

এলাকাবাসী জানান, আমাদের নদীটির অবস্থান অনেক দুরেই ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে নদীটি এদিকে ভাঙন শুরু করে এই এলাকার দিকে ধেয়ে আসছে। এই মূহুর্তে নদীটির যে কোন একটা ব্যবস্থা না করা হলে হিন্দুদের কয়েকশত ঘর বাড়ি এবং শ্মশানঘাট সহ গাছপালা বিলীন হয়ে যেতে পারে। রাতোর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, যে হারে নদীটি ভাঙতে শুরু করেছে মনে হচ্ছে আগামী বর্ষা মৌসুমে সেটি এলাকার বাড়ি-ঘর তার গর্ভে নিয়ে যাবে। আমি নদীটি পুনঃখনন করা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে শ্মশ্বান, রাস্তাঘাট এবং আবাদী জমিসহ গাছপালা রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) প্রীতম সাহা বলেন, আমাদের যেটা করণীয় সেটা করব। আর যদি নদী খননের ব্যবস্থা করা যায় কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় আমরা নেব। সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com